বাগেরহাটে প্রতারণার অভিযোগে ফিরোজ আলী খন্দকার (৪৫) নামে এক ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ। রবিববার দিবাগত গভীর রাতে বাগেরহাট পৌরসভার সোনাতলা এলাকা থেকে থেকে তাকে আটক করা হয়। আটক ফিরোজ আলী খন্দকার গোপালগঞ্জ জেলার কোটালিপাড়া উপজেলার নোয়াদা এলাকার মোকসেদ আলী খন্দকারের ছেলে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে বাগেরহাট পৌরসভার সোনাতলা এলাকায় একটি বাড়িতে বসবাস করতেন। সে নিজেকে বাগেরহাট সদর উপজেলা ইমারত নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক বলে পরিচয় দিতেন।
পুলিশ ও ভুক্তভোগীরা জানান, আটক ফিরোজ আলী খন্দকার বাগেরহাট সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকার ২০ থেকে ২৫ জনকে জেলা প্রশাসক ও সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে ২২০ জনকে সরকারি ব্যবস্থাপনায় মালয়শিয়া, কানাডা, রোমানিয়াসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে পাঠানোর কথা বলে ডাক্তারি পরীক্ষা করিয়েছেন। এ বাবদ ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়ে ৫০ হাজার টাকা জামানত হিসেবে ব্যাংক চেক জমা দিতে বলেন। বিদেশে যাওযার খরচ হিসেবে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে সাড়ে ৬ লাখ টাকা ঋণ পাইয়ে দেয়ারও আশ্বাস দেন ভুক্তভোগীদের। এভাবে বাগেরহাট সদর উপজেলার মুক্ষাইট এলাকার চা দোকানি আলামিন হোসেন জনিসহ অনেকের কাছ থেকে সরকারি ভাবে বিদেশে পাঠানোর কথা বলে অনলাইন আবেদন, মেডিকেল টেস্ট ও পুলিশ ক্লিয়ারেন্স বাবদ ১২ হাজার টাকা নেয়। পরে তার দেয়া একটি একাউন্টে ৫০ হাজার টাকা জমা দিতে বলেন ভুক্তভোগীদের। সরকারি ভাবে বিদেশে যাবার বিষয়ে আলামিন হোসেন জনি সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে গিয়ে জানতে পারেন তিনিসহ অন্যরা প্রতারিত হয়েছেন।
সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রতারনার বিষয়ে দ্রুত থানায় অভিযোগ দিতে বলেন। জনির অভিযোগের পর রবিববার দিবাগত গভীর রাতে অভিযান চালিয়ে প্রতারক ফিরোজ আলী খন্দকারকে আটক করে পুলিশ।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।